মধ্যরাতে দীপাবলি, পাক ভূমিতে ভারতীয় সেনার মিসাইল হামলা!

注释 · 423 意见

কাশ্মীরে পর্যটক খুনের প্রতিশোধে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সেনার চমকে দেওয়া হামলা।

২০২৫ সালের ৬ই মে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গোপনে আক্রমণ চালাল ভারত। সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার যৌথ অভিযানে ধ্বংস হয়েছে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন সিন্ধূর”, যার লক্ষ্য ছিল পহেলগামে সম্প্রতি পর্যটকদের উপর হওয়া জঙ্গি হামলার জবাব দেওয়া।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে রাত ২:২০ মিনিট নাগাদ অভিযান শুরু হয়। লক্ষ্যস্থল ছিল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদ, বালাকোট, ও হাভেলিয়ান অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ৯টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি।

ভারতীয় যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন না করেও অত্যাধুনিক স্ট্যান্ড-অফ মিসাইলের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কাশ্মীরের পহেলগামে হানাদারদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই ঘটনার পর থেকেই সেনা হেডকোয়ার্টারে চলছিল বিশেষ পরিকল্পনা। দীপাবলির রাতে পাকিস্তানে ছুটি থাকার সুযোগে চালানো হয় এই ‘সার্জিক্যাল অ্যাকশন’।

প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানান, "এই আঘাত সন্ত্রাসের মূলকে ধ্বংস করার একটি উদ্যোগ। নিরীহ নাগরিকদের উপর বারবার আক্রমণের পাল্টা জবাব এখন আমাদের নীতি। আমরা শান্তি চাই, তবে দুর্বলতা নয়।"

ইসলামাবাদ দাবি করেছে, ভারতীয় হামলায় তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং দুইটি ধর্মীয় স্থাপনায় ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা এই ঘটনার কড়া জবাব দেবে। তবে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের বিষয়ে তারা নিরুত্তর।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে এই পদক্ষেপকে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনার সূচনা’ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে অনেকেই ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন।

এখনও পর্যন্ত সীমান্তে কোনো বড়সড় পাল্টা হামলার খবর না মিললেও, ভারতীয় সেনা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। কাশ্মীর সীমান্তে ড্রোন নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, এবং স্থানীয় জনগণকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও ২০১৯ সালের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ২০২৫-এ অপারেশন সিন্ধূর প্রমাণ করল, সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। তবে এই পদক্ষেপ উপমহাদেশে নতুন করে সংঘাতের জন্ম দিতে পারে কিনা, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।

注释